স্যারের অধীনে দুই বছর চক্ষু বিষয়ে ট্রেনিং গ্রহন করেন। পরবর্তীতে বগুড়ায় শাহ সুলতান লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসক হিসাবে কিছুদিন চাকুরী করেন। ২০০১ সালে ২০তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৩ সালের জানুয়ারী সেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চক্ষু বিষয়ে এম এস ডিগ্রীর জন্য ভর্তি হন। ২০০৩ সালে এম এস পার্ট ১ শেষ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগে উত্তর বঙ্গের আরের বিশিষ্ট চক্ষু চক্ষু সার্জন অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল ইসলাম স্যারের অধীনে দুই বছর ট্রেনিং করেন। ২০০৫ সালের শেষীম এস ২য় ও ৩য় পর্বের জন্য আবারো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। ২০০৯ সালে এম এস ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসাবে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যোগদান করেন। এই সময় তিনি চোখের বিভিন্ন সাব-স্পেসালিটিতে ট্রেনিং গ্রহন করেন। বিশেষ করে রেটিনার রোগীদের ভোগান্তি তাঁকে গভীর পীড়া দিত। তাই ২০১৩ সালের ১লা এপ্রিল সহকারী অধ্যাপক হিসাবে পদন্নোতি পাওয়ার পর আবারো তিনি রেটিনা বিষয়ে পোষ্ট-গ্র্যাজুয়েট ফেলোশীপ ট্রেনিং-এ যোগদান করেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে রেটিনা বিষয়ে পোষ্ট-গ্র্যাজুয়েট ফেলোশীপ ট্রেনিং সম্পন্ন করেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারীতে তিনি একক প্রচেষ্ঠায় গরীব চক্ষু রোগীদের বিশেষ করে রেটিনার রোগীদেরকে স্বল্পমূল্যে সেবা দানের নিমিত্তে শ্যামলী চক্ষু হাসপাতাল নামের একটি ছোট্র প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এখন পর্যন্ত এখানে তিনি প্রায় বিশ হাজার আউটডোর চক্ষুরোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন এবং তিন হাজার রোগীর চোখের বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করেছেন। অনেক সাশ্রয়ী রেটে প্রায় তিনশত লোকের রেটিনা অপারেশন করেছেন এবং দুই হাজার রেটিনা রোগীর চোখে লেজার ও এন্টি ভিজিএফ ইনজেকশন দিয়েছেন। তিনি প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে গরীব মানুষদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।