ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগের কাউন্সেলিং

ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাফি – ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগের কাউন্সেলিং

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (Diabetic Retinopathy) হলো ডায়াবেটিসজনিত চোখের একটি জটিল সমস্যা, যা দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দিতে পারে এমনকি অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো উপসর্গ না থাকলেও, সময়মতো চিকিৎসা না নিলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাফি ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির সনাক্তকরণ, চিকিৎসা এবং রোগীদের সচেতন করার জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং করে থাকেন।


🔹 ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগীদের কাউন্সেলিং বিষয়সমূহ

✅ ১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করা রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
গ্লুকোজ লেভেল (HbA1c) ৭% এর নিচে রাখা দরকার।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।


✅ ২. নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা

ডায়াবেটিস থাকলে বছরে অন্তত একবার চোখের বিশেষজ্ঞ দ্বারা ফান্ডাস পরীক্ষা করানো উচিত।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করা সম্ভব।
চোখে কোনো সমস্যা অনুভব না করলেও চেকআপ করানো বাধ্যতামূলক।


✅ ৩. রেটিনোপ্যাথির লক্ষণ ও সতর্কতা

চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়া।
চোখের সামনে কালো দাগ বা ভাসমান বস্তু দেখা (Floaters)।
আলো ও অন্ধকারের মধ্যে সামঞ্জস্য করতে সমস্যা হওয়া।
চোখের রক্তক্ষরণ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


✅ ৪. ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির চিকিৎসা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া

প্রাথমিক পর্যায়ে ওষুধ ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
উন্নত পর্যায়ে ইনজেকশন, লেজার বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচন করা হয়।


✅ ৫. ইনজেকশন ও লেজার থেরাপি সম্পর্কে পরামর্শ

Anti-VEGF ইনজেকশন (Lucentis, Avastin, Eylea) রক্তনালীর লিকেজ বন্ধ করতে সাহায্য করে।
লেজার থেরাপি (PRP লেজার) নতুন অপ্রয়োজনীয় রক্তনালীর গঠনে বাধা দেয় ও রক্তক্ষরণ কমায়।
যাদের চোখে প্রচণ্ড ফ্লুইড জমেছে বা রক্তক্ষরণ হয়েছে, তাদের জন্য ভিট্রেকটমি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে।


✅ ৬. গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষ পরামর্শ

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি দ্রুত খারাপ হতে পারে, তাই নিয়মিত চেকআপ করানো জরুরি।
গর্ভাবস্থায় চোখের সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


✅ ৭. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরামর্শ

প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করা।
চর্বিযুক্ত ও অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার পরিহার করা।
ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা।
রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা।


🔹 কেন ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কাউন্সেলিং গুরুত্বপূর্ণ?

রোগ সম্পর্কে সচেতন হলে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা নিয়ে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও নিয়মিত চিকিৎসা অনুসরণ করলে দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করা যায়।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা সম্ভব।

👉 ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি নিয়ে যেকোনো পরামর্শ ও চিকিৎসার জন্য ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাফির বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিন। 👁️💙

হাসপাতালঃ কাফি আই কেয়ার সেন্টার
এড্রেসঃ ৩/ক, পি. সি. কালচার হাউজিং সোসাইটি (প্রিন্স বাজারের বিপরীত পার্শ্বে), রিং রোড, শ্যামলী ঢাকা – ১২০৭ । বাজারের বিপরীত পার্শ্বে), রিং রোড, শ্যামলী ঢাকা – ১২০৭ ।
চেম্বারের সময়ঃ সকাল ১০.০০ টা থেকে দুপুর ০২.০০ টা সন্ধ্যা ০৬.০০ টা থেকে রাত ০৯.০০ টা পর্যন্ত সিরিয়ালের জন্যঃ ০১৭০১-৪৬৩১১৪ ।

ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাফি

সেবাসমূহ

Click to Chat
  • 01828928064
  • Scroll to Top