বর্তমানে বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ প্রযুক্তির স্তরে অবস্থান করছে চক্ষুবিজ্ঞান। বায়োনিক চোখ থেকে শুরু করে জিন থেরাপি সবকিছু নিয়ে চলছে নিরন্তর গবেষনা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চোখের ভিতরের লেন্সের ও বয়স বাড়ে, আস্তে আস্তে স্বচ্ছ লেন্সটি অস্বচ্ছ হয়ে যায়। লেন্সের এই অস্বচ্ছ অবস্থাকে বলা হয় ছানি। সারা প্রতিবীতে ছানি রোগের একমাত্র স্বীকৃত চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে অপারেশন। বর্তমানে ছানি অপারেশনের সর্বাধোনিক পদ্ধতি হচ্ছে ফেমটো-সেকেন্ড লেজার এসিসটেড ফ্যাকো-সার্জারি। চোখের সামনের অংশে কর্নিয়ায় একটি ছিদ্র করে মেশিনের সাহায্যে ছানি বের করে এনে কৃত্তিম লেন্স সংযোজন করা হয়। কৃত্তিম লেন্স দুই প্রকারের। একটি হার্ড বা শক্ত অপরটি সফট বা নরম। এই নরম লেন্সটি হচ্ছে – ফোলডেবল লেন্স। ফ্যাকো পদ্ধতিতে এই নরম লেন্সটিই ব্যবহার করা হয়। এই নরম লেন্সটি বাজারে দুভাবে পাওয়া যায়, একটি হচ্ছে মনোফোকাল, অপরটি হচ্ছে মাল্টিফোকাল। সাধারনত মনোফোকাল লেন্স দিয়ে ছানি অপারেশন করালে রোগীর দূরের দৃষ্টির সমাধান হয়, কিন্তু কাছের জন্য তাকে অবশ্যই চশমা ব্যবহার করতে হয়। আর মাল্টিফোকাল লেন্স দিয়ে ছানি অপারেশন করালে রোগীর দূরের দৃষ্টি ও কাছের দৃষ্টি দুটোই সমাধান হয়। তখন রোগীকে আর চশমা ব্যবহার করতে হয় না।
এক্ষত্রে একজন ভালো চিকিৎসক হলেন ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল কাফি। তিনি রেটিনা এবং ফ্যাকো সার্জন।
শ্যামলী আই হসপিটাল, রিং রোড, ঢাকা